আর্কাইভ | জানা-অজানা RSS for this section

যে ফুলে যায় না মালা গাঁথা, যে ফুলে হয় না মালা গাঁথা

ফুল শব্দটা মনকে আলোড়িত করে। ‘ফুল’ কথাটার মাঝেই লুকিয়ে আছে ভালো লাগার পরশ। ফুলের প্রতি ভালবাসা চিরন্তন। ফুলকে ভালো লাগার মাঝেই যেন মন ভালো হওয়ার কোন এক অজানা মন্ত্র লুকানো আছে। অতি পুরাতন কথা, যে ফুল ভালবাসে না, সে মানুষ খুন করতে পারে। কে জানে, হবেও বা।

ফুলের সাথে মালা ও তোড়ার আছে এক অচ্ছেদ্য বন্ধন। ফুল  আর ফুলদানীবিহীন গৃহ কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগে। বাসর সজ্জা, প্রেম নিবেদন, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, গৃহ সজ্জা,  ছাড়াও নানান ভাবে ফুলের সাথে জড়িয়ে থাকে নানান স্মৃতি। কিন্তু আমরা এও জানি যে সব ফুলে মালা গাঁথা যায় না, সব ফুল দিয়ে প্রেমিকার মন তুষ্ট করার চেষ্টা ফলপ্রসু হয় না।

জলে স্থলে ফোটে নানান ফুল। তার মাঝে কয়টার দিকেই বা আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়! নয়নলোভা রূপ নিয়েও অনেক ফুল অবহেলিতই থেকে যায়। পড়ে থাকে মানব চক্ষুর অগোচরে অনাদরে। তেমনই কিছু ফুলের সাথে পরিচিত হওয়া যাক এখন।

নিচে যে ছবিটা দেখা যাচ্ছে, সেটা দিয়ে মালা গাঁথা যায় না, ঘর সাঁজাতেও তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। তবু কিন্তু এটা একেবারে অনাদরের ফুল নয়। ক্যাক্টাসের এই ফুল অনেক যত্নের পরে তবেই পাওয়া যায়। আকারে বেশ ছোট, হঠাত করে চোখে নাও পড়তে পারে। ছবিতে মোটামুটি আকর্ষণীয় মনে হলেও এর আকৃতির কারণে কারো দৃষ্টি আকর্ষণের ক্ষমতা এর নেই বললেই চলে।

Image

 

 

শিক্ষকের বেতের  আঘাত আর তা থেকে পাওয়া শারীরিক ও মানসিক কষ্টের কথা জীবনেও ভোলা যায় না। কিন্তু বেতের ফুল দেখে যে অনুভূতি জাগবে মনে তা হবে নিতান্তই অপ্রতুল এবং ক্ষণস্থায়ী।

বেত ফুল

বেতফুল

নাইট কুইন এত গভীর রাতে তার দল মেলে দেয় যে, তা দেখার সুযোগ হয়ই না প্রায়। আর দেখতেও তেমন আহামরি কিছু নয়, ঘ্রাণেও মন মাতানোর মত কিছু নেই। তবু এই ফুলের কদর একেবারে কম নয়। অনেকেই অতি যত্নে বাগানে বা টবে নাইট কুইনের ধ্যান করে থাকেন।

Night Queen, the queen of night

নাইট কুইন

 


হরতাল নয়, নেহাত বেতাল কিছু নয়, একেবারে জলজ্যান্ত তালের ফুল। ঠিকই ধরতে পেরেছেন, এগুলো তাল গাছের পুরুষ ফুল। তালের স্ত্রী ফুলের নাগাল পাই নি, সে ফুল যে কেমন তাও কখনও দেখা হয় নি।

তাল ফুলতালের ফুল

একেবারে মাটি ফুড়ে বের হয়েছে এই ফুল। একজাতের কচুর ফুল এটা। সুগন্ধ বলে এতে কিছু নেই। মাছি বা সে জাতীয় কিছু পতঙ্গ এদের গন্ধে আকৃষ্ট হয়, পরাগায়ন ঘটায়। কোন কোন কচুর ফুল আবার অনেকের খাদ্য তালিকাকেও সমৃদ্ধ করে থাকে।

DSC06233

আবারও কচু! ফুলের বাহার দেখে যদি মন না ভরে, তবে তার পাতার বাহার আপনাকে নিশ্চয়ই তুষ্ট করবে। প্রকৃতিই এর পাতাতে লাল (গোলাপী) আর সাদা ছোপ দিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

DSC06241

কবিতাতেও কখনও এ সব ফুলের কথা কেউ বলেন না, কাব্যে এদের স্থান নেই। ডাব-নারকেল প্রায় সকলেরই প্রিয়, কিন্তু তার ফুল? না, তেমন করে কেউ এদের দিকে চেয়েও দেখে না।

নারকেল ফুল

অনেক হলো। আজ আর নয়। পরে এমন আরও কিছু ছবি নিয়ে কখনও দেখা হবে আশা করি।

পানি নিয়ে ভাবনা

পানি নিয়ে ভাবনা তো আছেই, কিন্তু ক’জনে আর ভাবে তেমন করে। এই যে বছর বছর বন্যা হয়, সাইক্লোন আসে (কখনও আইলা, কখনও মহাসেন, ইত্যাদি) সাথে নিয়ে আসে আট/দশ ফুট পানির পাহাড়। ঢল নামে পাহাড়ে, ধসে পড়ে পাহাড়। পানির জন্যই তো এত সব বিপত্তি। পানির এই সব ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক দিক নিয়ে ভাবনা বড় একটা কম তো হয় না। তবু বলি, তেমন করে আর ভাবে কয়জনেইবা!

জ্যোতির্বিজ্ঞানী তার দূরবীনে চোখ রেখে মহাবিশ্বের কোথায় কোন নক্ষত্র, তা দেখেন, তা নিয়ে ভাবেন। কিন্তু তার ভাবনার মাঝে প্রচ্ছন্নভাবে হলেও যে ভাবনাটা প্রাধান্য পায় তা হলো কোন নক্ষত্রে আছে পানি, আছে অক্সিজেন। প্রকারান্তরে তার এই ভাবনার প্রধান কারণ, পানি আর অক্সিজেন থাকলেই শুধু সেখানে এই পৃথিবীর মত বা অন্য কোন রকম হলেও জীব সেখানে পাওয়া যাবে। পৃথিবীর এই যে বর্তমান রূপ, অপরূপ সজ্জা, বৈচিত্রময় পরিবেশ সব কিছুর পিছনে আছে পানি। এই পানিতেই জন্ম নিয়েছে আদিপ্রাণ, আজকের এই জীবজগত। পানির মত এমন গুণ আর কিছুতেই নেই, কোন কিছুর সাথেই পানির এই ক্ষমতার তুলনা করা যায় না।

আবারও বলি, পানি নিয়ে যারা এমন করে ভাবে তাদের সংখ্যা কিন্তু অতি নগন্য। আর তার কারণ মোটেও অবোধ্য নয়। আমাদের চারপাশে এত বেশী পানি আমরা প্রতিনিয়ত দেখি যে, এর মাঝে কোন বিশেষত্ব থাকতে পারে তা আমাদের মাথায়ই আসে না। আমরা এও জানি যে, ভূপৃষ্ঠের চার ভাগের তিন ভাগই চাপা পড়ে আছে পানির নীচে। এ ছাড়া ভূপৃষ্ঠের এক-পঞ্চমাংশ জমাট বাঁধা পানিতে (বরফ) ঢেকে আছে। পৃথিবীর অর্ধেকটারও বেশী অংশ তো সব সময়  বাষ্পীভূত পানির  কণা দিয়ে তৈরী মেঘের আবরনে আবৃত থাকে। আর যেখানে মেঘ থাকে না, সেখানে যত অল্পই হোক থাকে জলীয় বাষ্প। পানির এই যে প্রাচুর্য আর আধিপত্য তা জীবদেহেও লক্ষ্য করা যায়। আমাদের, মানুষের শরীরের শতকরা ৭১ ভাগই পানি। এই যে চারদিকে, সব কিছুতে পানির এত আধিক্য, এরই ফলে পানির মাঝে বিস্ময়কর কিছু খুঁজতে আর চায় না কেউ। সর্বত্র পানির এত ছড়াছড়ি, এত সহজলভ্যতা, আকাশ-বাতাস-মর্ত্য, সকল জীবদেহ সবখানে এমন প্রাচুর্য তাও কিন্তু কম বিস্ময় নয়। পৃথিবীর আর কোন পদার্থ এমন ভাবে সব কিছুতে বিরাজ করে এমন তথ্য জানা নেই কারো। আবার একই সময়ে কঠিন, তরল ও বাষ্পীয় অবস্থাতেও পানি ভিন্ন অন্য পদার্থের অস্তিত্ব জানা যায় না।

পৃথিবী ও এর আবহাওয়া যে এমন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে তার কৃতিত্বও পানির। পানি যদি না থাকতো এই সাধের দুনিয়া ঠাণ্ডায় জমাট বাঁধা একটা গ্রহে পরিণত হতো, জীবজগত বলে কোন কিছুই থাকতো না, প্রাণের সঞ্চারই ঘটতো না। কেন? পানির বৈশিষ্ট এই যে, এটা তাপে দ্রুত গরম না হয়ে ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে এবং প্রচুর তাপ ধারণ করে রাখতে পারে। আবার ঠাণ্ডা হবার সময় তা অতি ধীরে তাপকে মুক্ত করতে থাকে। পৃথিবী নামের এই গ্রহের সকল সাগর-মহাসাগর-হ্রদ, ছোট বড় সকল জলাশয়, এমন কি বাতাসে ভাসমান জলকণা সব কিছুই সূর্যের তাপ ধারণ বা সঞ্চয় করে রাখতে সক্ষম। সূর্যালোক যখন থাকে না, তখন এই সঞ্চিত তাপ মুক্ত হতে থাকে ধীরে ধীরে। আর এভাবেই পৃথিবীর উষ্ণতা বজায় থাকে, আবহাওয়া কখনোই সহনশীলতার সীমা অতিক্রম করে না।

আমরা জানি, মহাশূন্য শীতল থেকেও শীতলতর। মহাশূন্যের এই শীতলতা আমাদের এই গ্রহকে গ্রাস করতে পারে না, এমন কি সে শীতলতার প্রভাবে প্রভাবান্বিতও করতে পারে না। আর এ জন্য একক ভূমিকা পানিরই। এ গ্রহের চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে রয়েছে জলীয় বাষ্পের  এক অদৃশ্য স্তর, যাকে আমাদের পশমের কম্বলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। জলীয় বাষ্পের এই কম্বল মহাশূন্যের হিম শীতলতাকে যেমন পৃথিবীর দিকে আসতে বাধা দেয়, তেমনই পৃথিবীর (পানির) ধারণ করে রাখা তাপ মহাশূন্যে মিলিয়ে যাবার সুযোগ দেয় না। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। মরুভূমিতে দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরম, আবার রাতে ভীষণ ঠাণ্ডা, এ কথা সকলেরই জানা। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, মরু এলাকায় জলীয় বাষ্পের স্বল্পতা বা অভাব। সামান্য পরিমানে যে জলীয় বাষ্প মরু অঞ্চলের অদৃশ্য বাষ্পীয় কম্বল গঠন করে, তাতেও থাকে হাজারো ছিদ্র। সে কারণে সূর্যের তাপ প্রায় বিনা বাধায় মরুপৃষ্ঠকে তাতিয়ে তোলে, আবার একই কারণে সন্ধ্যা নামতে না নামতেই তাপ হারাতে থাকে। ফলে নির্বিঘ্নে বেড়ে যায় মরুভূমির শীতলতা।

পানির আর একটা বৈশিষ্ট সম্পর্কেও আমাদের জানা আছে। পানি থাকলেও পানির এই বৈশিষ্ট যদি না থাকতো তা’হলে এই গ্রহটি হতো একেবারে নিরেট বরফের গ্রহ। পৃথিবীর যাবতীয় পদার্থ ঠাণ্ডায় সঙ্কুচিত হয়, তাপে সম্প্রসারিত হয়। একমাত্র পানিই এর ব্যতিক্রম।  অন্যান্য পদার্থের মত পানিও ঠাণ্ডায় সঙ্কুচিত হলে কি ঘটতে পারতো তা দেখা যাক। সঙ্কুচিত পানির (বরফের) ওজন যেত বেড়ে, উপরের স্তরের পানি জমে তার ওজনের কারণে তলিয়ে যেত। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে অচিরেই জমাট পানি (বরফ) ছাড়া পানির আর কোন অস্তিত্বই থাকতো না। পৃথিবী হয়ে যেত একখণ্ড বরফ, যাকে ঘিরে থাকতো কোন জলীয় বাষ্পবিহীন গ্যাসীয় একটা স্তর।

অসমাপ্ত   …   …।

[বাকী অংশ নিয়ে পরে কোন একসময় আবার আলাপ করা যাবে।]

শব্দপুঞ্জ

কখনো স্ফুলিঙ্গ, কখনো বরফকুচি ...

মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস এর কালির আঁচড়

জড়ো হ‌ওয়া শব্দের অভয়াশ্রম

অগ্নিপথ

সত্য সমাদ্ধৃত, মিথ্যা অপসৃত

গোধূলি লগনে

রাঙ্গিয়া উঠিলে তুমি কাহারে দেখিয়া

আলাউল হক সৌরভ'এর ব্লগ

একজন সৌরভ, তেমন কেউ না, অতি সাধারণদের মাঝে শুধুই একজন অসাধারণ...

ভোরের ব্লগ-বাঁধনের মুক্তআকাশ

সারা দিনের খোলা বাতায়ন...

কঙ্কণের রিনিঝিনি

হাসি খুশী আনন্দ অমলিন স্নেহ সাথী হোক সকলের সকল সময়

সুরঞ্জনার ব্লগ

সুরঞ্জনার ব্লগ

রুমান'স ব্লগ

যেখানে পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ সম বিস্তৃত

ঝলক

নাজমুল হুদার ব্লগ নানাবিধ বিষয়ে এই ব্লগ সমৃদ্ধ। এর মাঝে প্রকৃতি ও পরিবেশের উপরে জোর দেওয়া হবে।

মঙ্গলধ্বনি

প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের পক্ষে

নৈঃশাব্দিক

নিঃশব্দ বাস্তব

সাপ্তাহিক ব্যবচ্ছেদ

সংবাদ ও বিশ্লষণ

লুব্ধক

ইচ্ছেপূরণের খড়কুটো কুড়াতে এসো শিল্প বিনির্মাণে অনন্য হই সৃষ্টিসুখের পরিশুদ্ধ উল্লাসে.......

অর্ণব আর্কের খেরোখাতা

ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রত্নতত্ত্ব আর রাজনীতি

অগ্নিপথ

সত্য সমাদ্ধৃত, মিথ্যা অপসৃত

পথহারা পথিক

আঁধারের পথে হেঁটে চলা এক পথিক। আলোর খোঁজে ছুটছি নিরুদ্দেশ......